ME

শুক্রবার, ১০ মে, ২০১৩

একটি মজার চিঠি

এক ছেলের সাথে এক মেয়ের বিয়ে হয়। ছেলে শহরে কাজ করে।
মেয়েটি অশিক্ষিত ছিল।৫ বছর হয় তাদের বিয়ে।একদিন স্বামীর কথা খুব মনে পড়াতে মেয়েটি একটি চিঠি লিখে তার কাছে। কিন্তু বিরাম চিহ্নের ব্যবহার
না জানার কারণে চিঠিটি নিম্নরূপ
দাড়াঁয়-



প্রিয়তম স্বামী,

সারাটা জীবন শুধু শহরেই কাটাইলে। এই ছিল তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলিয়া গিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবিয়া গিয়াছে ছোট খোকা। স্কুলে যাইতে চায়না ছাগলটা।শুধু ঘাস খাইয়া ঝিমাইতাছে বাবা।পেটের অসুখে ভুগিতেছে বাগানটা। আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের ছাদ। স্থানে স্থানে ফুটো হয়েছে গাভীর পেট।দেখিয়া মনে হয় বাচ্চা দেবে করিমের বাপ। রান্না করিতে যাইয়া হাত
পুড়াইয়া ফেলিয়াছে কুকুর ছানাটা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা।দাঁড়ি কামাইতে গিয়া গাল কাটিয়া ফেলিয়াছে নুরার মা।প্রসব বেদনায় চিত্কার করছে নুরার বাপ। বারবার ফিট হইয়া যায় ডাক্তার। সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন।
এমনোবস্থায় তুমি অবশ্যই
বাড়ি আসিবে না।আসলে অত্যন্ত দুঃখিত
হব।
ইতি
তোমায় প্রিয়তমা

চিঠিটি যেরূপ হওয়ার কথা ছিল-

প্রিয়তম স্বামী

সারাটা জীবন শুধু শহরেই কাটাইলে। এই ছিল তোমার কপালে।আমার পা আরো ফুলিয়া গিয়াছে। উঠানটা জলে ডুবিয়া গিয়াছে।ছোট খোকা স্কুলে যাইতে চায়না। ছাগলটা শুধু ঘাস খাইয়া ঝিমাইতাছে। ­বাবা পেটের অসুখে ভুগিতেছে।বাগানট­­­া আমে ভরিয়া গিয়াছে।ঘরের ছাদ স্থানে স্থানে ফুটো হয়েছে।গাভীর পেট দেখিয়া মনে হয় বাচ্চা দেবে। করিমের বাপ রান্না করিতে যাইয়া হাত
পুড়াইয়া ফেলিছে।কুকুর ছানাটা সারাদিন লেজ
নাড়িয়া খেলা করে।বড়
খোকা দাঁড়ি কামাইতে গিয়া গাল
কাটিয়া ফেলিয়াছে।নুরার মা প্রসব
বেদনায় চিত্কার করছে।নুরার বাপ বারবার ফিট হইয়া যায়।ডাক্তার
সাহেব আসিয়া দেখিয়া গিয়াছেন।
এমনোবস্থায় তুমি অবশ্যই বাড়ি আসবে। না আসলে অত্যন্ত দুঃখিত হব।
ইতি
তোমার প্রিয়তমা

৫টি মন্তব্য: