রথম দৃশ্য:
দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।
সাথে গোল্ডলিফ।
আহ্ সেই ফিল।
এক বড়ভাই,তার
পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে রিক্সা থেকে নেমে চিপস
কিনে দিল।
পিচ্চি অনেক কিউট।যে কারও ই
মায়া কাড়বে ওর হাসিটা।দেখলেই
আদর করে কোলে নিতে ইচ্ছে করে।
আর সেই দুরন্ত।
দুরন্তপানায় চিপস ওর হাত
থেকে পড়ে গেল।
মন খারাপ আর মুখ ভার
করে বলল,"আব্বু"।
দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম।
সাথে গোল্ডলিফ।
আহ্ সেই ফিল।
এক বড়ভাই,তার
পিচ্চি মেয়েটাকে নিয়ে রিক্সা থেকে নেমে চিপস
কিনে দিল।
পিচ্চি অনেক কিউট।যে কারও ই
মায়া কাড়বে ওর হাসিটা।দেখলেই
আদর করে কোলে নিতে ইচ্ছে করে।
আর সেই দুরন্ত।
দুরন্তপানায় চিপস ওর হাত
থেকে পড়ে গেল।
মন খারাপ আর মুখ ভার
করে বলল,"আব্বু"।
আর কিছু বলা লাগল না।ওকে আরও এক
প্যাকেট চিপস কিনে দেওয়া হল।
আর সেই বড়ভাই তার
অ্যাঞ্জেলকে বোঝাতে বোঝাতে চলে গেল,"আম্মু,দুষ্
টুমি করতে হয়না।তুমি বড় হয়েছ না।
এখন থেকে দুষ্টুমী করবা না।কয়দিন
পর না স্কুলে যাবা!!"
দ্বিতীয় দৃশ্য:
বিল দিয়ে দোকান থেকে বেরোয়ছি।
দুই মিনিটও হয়নি সেই অ্যাঞ্জেল তার
বাবার হাত
ধরে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেছে।
রাস্তার পাশে চিপসের খোলা সেই
প্যাকেটটা পড়ে রইছে।
হঠাৎ ছয়-সাত বছরের
নোংরা হাফপ্যান্ট পরা একটা ছেলের
আবির্ভাব।চুল উশকো খুসকো।
সারাদিন গালি গালাজ শুনেই এর দিন
পার হয়।ভোরেই হয়ত এর
মা বেরিয়ে পড়ে কাজের সন্ধানে।বাপ
মদ থেকে পড়ে থাকে।আর ও টোকাইয়ের
কাজ করে বেড়ায়।হয়ত।
একে দেখে মনের
মধ্যে ঘেন্না ছাড়া অন্যকিছু
আসবে না।
হঠাৎই ও চিপসের প্যাকেট
তুলে নিয়ে দৌড়।
তখন আর মুখটা দেখতে পেলাম না।
তবে পিছন দিক থেকে ওই বেয়াদব
ছেলেটার দৌড় দেখে মনে হল অনেক
বেশি পরিতৃপ্তি তার মধ্যে।অনেক
বেশী আনন্দ।যেন জীবনের সব
থেকে বড় উপহার পেয়েছে।
মিলিয়ে গেল মানুষের
মধ্যে,একটা গাড়ির
সামনে থেকে বিপদজ্জনকভাবে দৌড়
দিয়ে।
শেষ দৃশ্য:
তখনও কয়েকটুকরা চিপস পড়ে আছে সেই
জায়গায়।
আর আমি গন্তব্যের দিকে হাঁটা শুরু
করলাম।
কল্পনা: চিপস
নিয়ে ফ্ল্যাটে যেয়ে অ্যাঞ্জেলটা তার
মায়ের
গলা জড়ড়িয়ে খুনসুটিতে মেতে উঠবে।
আর ডাস্টবিনের ছেলটা হয়ত
কোনো ফ্লাইওভারের নিচে তার
অস্বাস্থ্যকর খুপড়িতে ফিরে বাপের
হাতে থাপ্পড় খাবে,সারাদিন
বাড়িতে না থাকার জন্য।
শেষকথা:
এর আগেও কিছু নেই।পরেও কিছু নেই।
এইভাবেই চলছিল,এইভাবেই চলবে।
চলুক।
অ্যাঞ্জেলটা আজকে তার মার
কোলে রাজপুত্রের গল্প
শুনতে শুনতে সুন্দর স্বপ্ন
নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক।
আর ডাস্টবিনের টোকাই
ছেলেটা অভুক্ত অবস্থায় ছক আঁকুক
পরেরদিন সকালের সংগ্রামের।
আর আমি?
কেটে যাবে আরেকটা বিনিদ্র রাত।
**ভাই কেউ কি দশমিনিটের
একটা সিনেমা বানাবেন কল্পনা আর
বাস্তবতার সংমিশ্রণে তৈরি এই
কাহিনীটা নিয়ে।
স্বল্পদৈঘ্যের সিনেমা হিসেবে ভালই
যাবে।
তাইনা?
ভাল থাকুক অ্যাঞ্জেল,সংগ্রাম
করে বেঁচে থাকুক ডাস্টবিনের ছেলে।
আর কিছু কইতাম না।
এখন,আরেকটা সিগারেট ধরাইলাম।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন